ডালিয়ার পথে পথে
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

ঢাকা থেকে তাড়াহুড়া করে বের হয়ে গেলাম। আর যা-ই হোক, বের হওয়ার মুহূর্তে মেজাজটা বিগড়াতে চাই না। ঢাকাকে জ্যামমুক্ত অবস্থায় বিদায় দিয়ে ভালো মুড নিয়ে যাত্রা করলাম। গন্তব্য ডালিয়া।
বহুদিন থেকে নাম শুনে শুনে ভাবি, পুরো এলাকায় বুঝি শুধু ডালিয়া ফুলের ছড়াছড়ি। আর তিস্তা ব্যারেজ, ওহ! সে বলার নয়, নদীর রাজনীতি, ভারত-বাংলাদেশ নদী সম্পর্ক, পানিবণ্টন, অর্থনীতি এবং কৃষি— কতকিছু যে জড়িয়ে আছে ওই শব্দ দুটোর মধ্যে! অথচ শোনার সঙ্গে দেখার সংযোগ ঘটল না এতগুলো বছরেও!
বরাবরের মতো গন্তব্য একটা হলেও উদ্দেশ্য ডালপালা ছড়ানো। পৌঁছতে যত সময় লাগে লাগুক— আমি বাবা হাজারে-বিজারে মাঠে-ঘাটে-ময়দানে ছবি তুলতে তুলতে যাব। তা-ই হলো। ভালো লাগে পুরনো দৃশ্যগুলোই। ভালো লাগে হলুদ সরষে ক্ষেত। ভালো লাগে শতবর্ষী বটগাছ। ভালো লাগে মাছ ধরা জেলে নৌকা। সবই পুরনো, তবু আমার কাছে পুরনো নয়। কেন, আমি জানি না।
বেরিয়েছিলাম সেই সকালে। কখন যে বেলা গড়িয়ে গেল সন্ধ্যার কোলে, বোঝা হলো না। যমুনা সেতু পার হতেই অসম্ভব ক্ষুধা। অ্যারিস্টোক্রেটে সামান্য খাওয়া সেরে নিলাম। পাশের গামছার দোকান থেকে চার-পাঁচটা গামছাও কেনা হলো। রংপুর থেকে সাংবাদিকরা বারবার ফোন দিচ্ছেন। পথে যেন আর দেরি না করি। তাড়াতাড়ি পৌঁছানোর তাগিদ। উত্তরবঙ্গের কুয়াশা! সত্যি সত্যি গাড়ি চলতেই টের পেলাম চলাটা বিপজ্জনক। সামনে কিছুই দেখা যায় না। কী বিপদ! কবির দক্ষ ড্রাইভার। খুব ধীরে চালিয়ে এগোতে শুরু করল। শীতের ভয়ে কম্বল কাঁথা নিয়ে এসেছি।
সফরসঙ্গীরা সব কম্বলের ভেতর ফুরুৎ করে ঢুকে গেল। কিন্নরীর বয়স অল্প। টগবগে রক্ত। ও কুয়াশা ধরবে বলে মাঝে মধ্যেই জানালার গ্লাস নামিয়ে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। শুভ্র বললো, তুই বরং মুখটা বাড়িয়ে কুয়াশা খেতে খেতে যা। যে-ই কথা সেই কাজ। আর আমরা মাঝখান থেকে ঠাণ্ডায় বুঝি কুয়াশাই হয়ে যাচ্ছি।
বগুড়ায় পৌঁছে গাড়ির চাকা বসে গেল। চাকায় ভালোমতো সমস্যা হয়ে গেছে। ঝামেলা শেষ করতে লেগে গেল প্রায় ঘণ্টাখানেক। চাকা সারানোর দোকানে ওরা বেশ আয়েশ করে বসে গেল আড্ডা পেটাতে। সঙ্গে চা-বিস্কুট আর চানাচুর। আমার এসব চলে না। অগতির গতি ছবি তোলা।
রংপুরকে পাশ কাটিয়ে সরাসরি চলে যাব ডালিয়া, নাকি শহর হয়ে যাব! সাড়ে ১১টা বাজে। কিছু খেয়ে নেয়া উচিত। এত রাতে ডালিয়ায় পৌঁছে খাবার কিছু পাওয়া যাবে না। তাই গাড়ি শহরমুখী হলো। পরিচিত রেস্তোরাঁয় উষ্ণ আতিথেয়তা। আসার আগাম সংবাদে মাছ ভাজা, মাছের ঝোল, মুরগি ভুনা, করলা ভাজি, বেগুন ভাজি, মলা-ঢেলার চচ্চড়ি— আরো? আরো ছিল, কিন্তু এত খাওয়া সম্ভব নয়। দলের মধ্যে বিশাল বপুধারী একা শুভ্র। ও সাপ্টে দিল মোটামুটি সব। গরম ডালটাও এমন চেটেপুটে খেল। কিন্নরী হতবাক— ‘মামা তুমি এত খাও কীভাবে!’ শুভ্র— হি হি হি পেটে হাত দিয়ে— ‘এই টুকুতেই!’
রংপুর থেকে পাগলাপীর হয়ে জলঢাকা, তারপর ডালিয়ার পথ। চলছি তো চলছি। চলছি তো চলছি। ঘড়িতে রাত ১২টা বেজে ৪৫ মিনিট। পথের শেষ কোথায়? গা ছমছম রাত্রি। দূরে কোথাও সামান্য আলোর চিহ্নও নেই। কালেভদ্রে স্থলসীমান্তের উদ্দেশে ট্রাকগুলো ভুশ ভুশ করে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। ওগুলোই আত্মার মধ্যে সামান্য শান্তির হাওয়া বুলিয়ে দিচ্ছে। চারপাশে কয়েক মাইল এলাকা সুনসান জনশূন্য।
সীমান্ত প্রহরীদের একটা গাড়ি লাল-সবুজ আলো জ্বালাতে জ্বালাতে নিভাতে নিভাতে চলল। আমরা তার পিছু পিছু। ওমা! ওটাও ভুষ করে কোথায় যেন হারিয়ে গেল। সত্যি সত্যি উধাও! আবার অন্ধকারে পথ হাতড়ে চলা। এই গা ছমছমে রাত আর নিকষ কালো পথ বুঝি আর শেষ হওয়ার নয়। রংপুর থেকে ৪৫ মিনিটের পথ। পুরো দেড় ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে হঠাৎ করেই পথের মধ্যে একটা দরজা এসে হাজির। খোলা। দরজা গলে গাড়ি ভেতরে ঢুকে গেল। ডানে-বাঁয়ে কিছু দেখছি না। কিছুদূর যাওয়ার পর একটা বাংলো মতোন দেখতে পেয়ে আমরা ঠিকানা ভেবে ধুপধাপ নেমে পড়লাম। শুভ্র, তুষার সব যে যার মতো হাঁকডাক শুরু করে দিল। কেউ আছেন ভাই, প্লিজ দরজাটা একটু খুলবেন? কারো কোনো শব্দ নেই। কী রে বাবা কোথায় এলাম! এটাই তো কাঙ্ক্ষিত রেস্ট হাউজ, নাকি?
অনেকক্ষণ ডাকাডাকি হাঁকাহাঁকি— একজন টিংটিং মতো মানুষ সামনে এসে দাঁড়াল, রেস্ট হাউজ ওইদিকে। মানে পেছনে ফেলে এসেছি। আজব, দেখতেই পেলাম না! আবার পেছনের পথ। বিশাল এক ফটকের সামনে শুরু হলো ডাকাডাকি। কোথাও কেউ নেই। গাড়ির তীব্র হর্ণে খানখান হয়ে গেল কুয়াশাচ্ছন্ন ধোঁয়াটে নিস্তব্ধ রাত্রি। একজন নৈশপ্রহরী এগিয়ে এলেন। দরজা খুলতে বলেই তিনি জানালেন, কেয়ার টেকার কাম সুপারভাইজর আমাদের জন্য অপেক্ষা করে চলে গেছেন। তার বাসস্থান দূরে। মাথায় বাজ। এই ঠাণ্ডায় বাইরে রাত কাটাতে হবে। এও কি সম্ভব! কান্না পাচ্ছে। রোমাঞ্চও হচ্ছে। মনে হচ্ছে, থাক কারো আসার দরকার নেই। বারান্দায় কম্বল বিছিয়ে চেয়ে দেখি অদ্ভুত, বড় অদ্ভুত এই রাত্রি! যোগাযোগের পর যোগাযোগ। রক্ষা হলো। আমাদের গাড়ি দিয়ে তাকে আমরা আনতে গেলাম। সুপারভাইজর ভাই এলেন!
খুলে গেল গভীর রাতে তিস্তা পাড়ে ডালিয়ার মূল দরজা। দেখলাম, কুয়াশার ভেতর দাঁড়িয়ে থাকা হিম শীতল বিশাল অট্টালিকা। বখাটে অতিথিদের সম্ভাষণ জানাল যেন সামান্য তিরস্কারের হাসি হেসে। এই সেই বহু গল্পময় ডালিয়া!
বিশাল পথ পাড়ি দিয়ে আমরা সত্যি ক্লান্ত। নরম বিছানা আমাদের ডাকছে। যে যার বিছানায় ঝাঁপ এবং ঘুম।
ঘুম ভাঙল পাখির ডাকে। মনে হয় অনেক পাখি। আমাকে ডাকছে।
আমাকে ডাকছে ভোরের পাখি
ডাকছে ভোরের আকাশ, ভোরের বাতাস
ভোরের শিশির, চিকচিকে আলো
ডাকছে নদী-হ্যাঁ তিস্তা নদীর পাড়
সামনেই তিস্তা! হাত বাড়ালেই নীল জল।
এত সুন্দর কেন? ভোরের আলোয় কর্মমুখর
তিস্তা পাড়ের মানুষ। আমার চোখ পড়ে না।
চোখের পাতা ফেললেই বুঝি হারিয়ে যাবে।
কেন যে এত সুন্দর আমার এই দেশ!
এত সুন্দর তাই বুঝি অনাদরে অবহেলায়
স্তব্ধ আমার বাংলাদেশ। আমরা যার খবরও রাখি না।

- নতুন জীবনের অধ্যায় শুরু শবনম ফারিয়ার
- সাইবার হামলা: ইউরোপজুড়ে শত শত ফ্লাইট বাতিল
- বাংলাদেশ ভ্রমণে উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি কানাডার
- যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বোমা হামলার হুমকি
- দক্ষ কর্মী ভিসা ফি ৮৫,০০০ ডলার বাড়ালেন ট্রাম্প
- বাংলাদেশিদের জন্য সহজেই খুলছে না দুবাইয়ের ভিসা
- ইসরাইলে ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা ট্রাম্পের
- রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শুভসূচনা বাংলাদেশের
- ভূমিকম্পের মতো কাঁপছে গাজা
- ‘কালি হোটেল অ্যান্ড রুফটপ’র টপিং আউট সেরিমনি
- নোমান শিবলীর দাফন সম্পন্ন
- জিয়া সাইবার ফোর্সের কমিটি ঘোষণা
- ‘কক্ষপথ৭১’র আত্মপ্রকাশ
- বেলাল আহমেদের পদোন্নতি
- নোয়াখালী সোসাইটি’র নির্বাচন ২৬ অক্টোবর
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নির্বাচনে দিল্লির যত মাথাব্যথা
- রোজারিও হত্যায় অভিযোগ প্রমাণিত
- জামাত কেন এবারই ক্ষমতায় যেতে চায়!
- ড. ইউনূস আসছেন ২২ সেপ্টেম্বর
- অঘটন ঘটাতে মরিয়া আওয়ামী লীগ
- অ্যাসেম্বলীতে মেরীর প্রার্থীতা ঘোষণা
- রহস্যে ঘেরা তাদের সফর
- মান্নান সুপার মার্কেটে ফেডারেল এজেন্সী
- আজকাল ৮৮৮।
- ট্রাম্পের ‘ল্যাসে-ফেয়ার’ অবস্থানই নেতানিয়াহুকে বেপরোয়া করছে
- এবার মেমফিসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করছেন ট্রাম্প
- গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
- চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র
- আট বার বাড়ার পর স্বর্ণের দাম কমলো
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- ‘আজকাল’- এখন বাজারে।
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৬০
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- ঈদের কেনাকাটায় কোন ধরনের পোশাক ক্রেতাদের মন কাড়ছে ?
- আজকের আজকাল ৮৬১ সংখ্যা
- টক দই খেলে কী উপকার
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- আজকাল ৮৬২তম সংখ্যা
- গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার
- ইনস্টাগ্রামে ছড়ায় ছবির বিভ্রান্তি
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৬৫
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- আবরার ফাহাদকে কেন স্বাধীনতা পদক দেওয়া হচ্ছে: ফারুকী

- বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম ১০টি দেশ
- বাসর রাতে ‘সেক্স’, বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়!
- সৌন্দর্যময় স্তন গড়ে তুলতে যেসব বিষয় জেনে রাখা উচিত
- চুমু কত রকম, জানেন?
- ছেলেদের কিছু হেয়ারস্টাইল
- ছেলেদের সাইড ব্যাগ কেন এত উপকারী
- যতনে বাঁধিও চুল, খোপায় বাঁধিও ফাল্গুনী ফুল
- রোজায় ডায়াবেটিস রোগীরা যেসব নিয়ম মানবেন
- যে ৫ উক্তি আপনার জীবন বদলে দেবে
- সহধর্মিনীতে সুখ চান; ঘরে তুলুন মোটা মেয়ে!
- হতাশা রোধ করবেন যেভাবে...
- কেন পছন্দ করবেন খাটো মেয়ে?
- পুরুষের গোপন সমস্যায় ভায়াগ্রার চেয়েও কার্যকর তরমুজ!
- এটমী`র অথেনটিক পণ্য নিয়ে এল ভেলা কসমেসিউটিক্যালস
- চকলেট খেলে এনার্জি কমে যায়!